ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে শেষ হবে এই প্রকল্প। রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য এটিই হচ্ছে সরকার কর্তৃক গৃহীত সবচেয়ে বড় প্রকল্প। সংযোগ সড়ক সহএটির দৈর্ঘ্য হবে ৪৬.৭৩ কিলোমিটার এবং ব্যয় হবে ৳১২২ বিলিয়ন টাকা।ইতাল-থাই ডেভোলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড $১.০৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে চায়না রেলওয়ে কন্সট্রাকসন কর্পোরেশন এর সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মানের জন্য।
প্রথম ধাপের এয়ারপোর্ট-বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত অগ্রগতি ৫৬ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপের বনানী রেলস্টেশন-মগবাজার ও তৃতীয় ধাপের মগবাজার-চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রস্তুতিমূলক কাজ চলমান। ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ পরীক্ষামূলক পাইলিং উদ্বোধন করা হয়।
২০২৩ সালের (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটা ছয় মিনিটে সুইচ টিপে রাজধানীর আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠের পাশে স্থাপিত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের ফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
১ম ধাপ- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা হতে বনানি রেল স্টেশন পর্যন্ত (চে. ০+০০০ মি: হতে চে. ৭+৪৫০ মি:) যার দৈর্ঘ্যে ৭.৪৫ কি:মি।
২য় ধাপ- বনানি রেল স্টেশন হতে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত (চে. ৭+৪৫০মি: হতে চে. ১৩+৩০০ মি:) যার দৈর্ঘ্যে ৫.৮৫ কি.মি।
৩য় ধাপ- মগবাজার রেল ক্রসিং হতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত (চে. ১৩+৩০০মি: হতে চে. ১৯+৭৩০ মি:) যার দৈর্ঘ্যে অবশিষ্টাংশ।