স্মার্ট নাগরিক

#
# # #

অনলাইন টিকেট-বুকিং

বিস্তারিত

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আমাদের জীবনযাত্রা এতই সহজ হয়ে গেছে যে এখন ট্রেন, বাস, লঞ্চ এবং বিমানের টিকেট কাটার জন্য সশরীরে যেতে হয়না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটার ঝামেলাও এখন নেই। শুধু একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার থাকলেই আপনি অধিকাংশ টিকেট বাড়িতে বসেই করে ফেলতে পারবেন।

ট্রেনের টিকেট ক্রয় করবেন কীভাবে?



ট্রেনের টিকেট কেনার জন্যে ‘রেলসেবা’ নামে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি অ্যাপ আছে। এখান থেকে খুব সহজেই ট্রেনের টিকেট কেনা যাবে, বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ট্রেনের টিকেট করা যাবে। এবং আরেকটি অপশন হচ্ছে বিকাশ।

১। অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কেনা

প্রথমেই, গুগল প্লে স্টোরে ‘Rail Sheba’ লিখে সার্চ দিয়ে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন। অ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে গেলে ‘Sign Up’ এ ক্লিক করে ইমেইল এড্রেস, ফোন নাম্বার, নাম, পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের পর ইমেইলে ভ্যারিফিকেশন লিঙ্ক পাঠাবে। এই লিঙ্কে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্ট সচল হয়ে যাবে। অ্যাকাউন্ট সচল হবার পর অ্যাকাউন্টে গিয়ে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে। সেজন্য আপনার জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার বা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে এই অ্যাপে লগ ইন করে ট্রেনের টিকেট কাটা, ট্রেনের সময়সূচী জানা, প্রয়োজনে ট্রেনের বগিও দেখে নেয়া যাবে। টিকেট কেনার জন্য ‘Purchase’ এ ক্লিক করে যাত্রা শুরু ও শেষের স্টেশন, তারিখ, যাত্রী সংখ্যা এবং আসনের শ্রেণী (শোভন, শো: চেয়ার, এসি, স্নিগ্ধা) নির্বাচন করতে হবে। তাহলে এই তারিখে কোন কোন ট্রেন আছে, সময় কখন সেসব বিস্তারিত তথ্য আসবে। এমনকি পছন্দসই সিটও নির্বাচন করে নিতে পারবেন। একজন সর্বোচ্চ ৪ টি টিকেট কাটতে পারবে। সেজন্য এর বেশি সিট নির্বাচন করা যাবে না। এবং একটি অ্যাকাউন্ট দিয়ে এক সপ্তাহে ২ বারের বেশি টিকেট ক্রয় করা যাবেনা। সিট নির্বাচন করে ‘Continue’ এ ক্লিক করলে ভাড়াসহ সকল তথ্য চলে আসবে। ভাড়ার সাথে ব্যাংক চার্জ এবং ভ্যাট যুক্ত হয়ে পুরো পরিমাণটা দেখাবে। ‘pay now’ এ ক্লিক করলে ডিজিটাল পেমেন্টের সুযোগ দিবে। এখানে বিকাশ, রকেট, ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, নেক্সাস কার্ড দিয়ে ভাড়া পরিশোধের সুযোগ আছে। পছন্দসই মাধ্যম নির্বাচন করে অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও পিন নাম্বার দেয়ার পর একটি কোড আসবে ফোনে। এই কোড দিলেই টিকেট কেনা হয়ে গেলো। আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ভাড়ার সমপরিমাণ টাকা কেটে নিবে এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে মেইল করে টিকেট পাঠিয়ে দিবে। আবার অ্যাপে গিয়ে ‘History’ তে ক্লিক করলেও টিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন।

২। ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ট্রেনের টিকেট কেনা
বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ট্রেনের টিকেট কেনা যাবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-সেবা ওয়েবসাইট https://www.esheba.cnsbd.com এ প্রবেশ করতে হবে। এখানে প্রবেশ করে নাম, ইমেইল এড্রেস, মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের পর জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দিয়ে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করে অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে যাবার পর ট্রেনের টিকেট কেনা যাবে। টিকেট কেনার জন্যে উপরের ওয়েবসাইটে গিয়ে যাত্রার স্থান এবং যাত্রা শুরুর স্থান নির্বাচন করতে হবে। তারিখ, আসনের ধরণ টিকেটের সংখ্যা নির্বাচন করলে এই তারিখে সচল সকল ট্রেনের তালিকা এবং সময়সূচি আসবে। ট্রেন নির্বাচন করার জন্যে ‘Details’ এ ক্লিক করে ‘Availability’ নির্বাচন করলে এখনো অবিক্রীত টিকেটের সংখ্যা এবং ভাড়া দেখা যাবে। ‘Purchase’ এ ক্লিক করলে লগইন এর অপশন দেখাবে। লগইন করলে অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে ভাড়া দেয়ার পরে ইমেইল ঠিকানায় টিকেট পাঠিয়ে দেয়া হবে। যাত্রার সময় এই টিকেট প্রিন্ট করে নিতে পারো অথবা স্টেশনের টিকেট কাউন্টারে এই ই-টিকেট দেখালে প্রিন্ট করা কাউন্টার টিকেট দিবে।
৩। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে
ট্রেনের টিকেট বিকাশ অ্যাপ দিয়েও কিনতে পারবেন। টিকিট কিনতে বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে অ্যাপের টিকেট আইকন থেকে ট্রেন নির্বাচন করতে হবে। এখানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘ই-টিকেটিং সার্ভিস’ স্ক্রিন আসবে। এখানে যাত্রার শুরুর স্থান, গন্তব্য, তারিখ, টিকেটের সংখ্যা এসব তথ্য দিয়ে ট্রেন নির্বাচন করতে হবে। গ্রাহকের প্রয়োজনীয় টিকেট থাকলে ‘purchase’ এ যেতে হবে। রেলওয়ের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের নিবন্ধিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর বিকাশ দিয়ে ভাড়া দেয়ার গেটওয়ে আসবে। গেটওয়েতে বিকাশ নম্বর দিলে ফোনে একটি ভ্যারিফিকেশন কোড আসবে। এই কোড ও পিন নাম্বার দিয়ে টিকেট নিশ্চিত করলে ইমেইল করে টিকেট পাঠিয়ে দেয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে রেলওয়ের ই-টিকেটিংয়ে অ্যাকাউন্ট করে রাখতে হবে।

বাসের টিকেট কিনবে কীভাবে?



বাসের টিকেট কেনার জন্যে তেমন কোন বিশেষায়িত মাধ্যম নেই। প্রত্যেক বাস কোম্পানীর জন্যে আলাদা নিয়ম। অনেক বাস কোম্পানীর জন্য অনলাইনে টিকেট কেনার কোন ব্যবস্থা নেই। অনলাইনে বাসের টিকেট কেনার কিছু মাধ্যম জেনে নিই -
১। সহজ ডট কম থেকে (https://www.shohoz.com/)
শুরুতেই সহজ অ্যাপ বা ওয়েবে গিয়ে যাত্রা শুরু ও শেষের শহরের নাম, যাত্রার তারিখ নির্বাচন করলে এই দুই শহরে যাতায়াতকারী সকল বাসের নাম, ভাড়া এবং যাত্রার সময়সূচীর তালিকা আসবে।
এখান থেকে বাস নির্বাচন করে বাসের পছন্দসই সিট নির্বাচন করতে হবে।
সিট নির্বাচনের পর আপনার পূর্ণনাম, ফোন নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস দিতে হবে।
এরপর অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করলে মেইলের মাধ্যমে টিকেট পেয়ে যাবেন।
এখানে বিকাশ, রকেটসহ অনেকগুলো অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যমে ভাড়া দেয়ার ব্যবস্থা আছে।
২। গ্রিন লাইনের ওয়েবসাইট থেকে
গ্রীনলাইনের ওয়েবসাইট https://greenlinebd.com/ এ গিয়ে যাত্রা শুরুর স্থান, গন্তব্য এবং যাত্রার তারিখ নির্বাচন করলে ভাড়ার পরিমাণ, বাসের সময়সূচী এবং বিভিন্ন ধরণের বাসের তালিকা আসবে।
এখান থেকে পছন্দসই একটি বাস নির্বাচন করলে সিট বাছাইয়ের সুযোগ দেবে।
এখান থেকে সিট নির্বাচন করে পরের ধাপে গিয়ে নাম, ফোন নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস দিতে হবে।
এরপর ‘Proceed to Pay’ তে ক্লিক করলে অনলাইন মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধের অপশন দেখাবে। সেগুলোর মধ্যে আপনার সুবিধাজনক মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করলে ইমেইলে ই-টিকেট পাঠিয়ে দেয়া হবে।
ই-টিকেট যাত্রার আগে কাউন্টারে দেখালে প্রিন্টেড টিকেট দিয়ে দিবে।

অন্যান্য বিষয়বস্তু

team-member

স্মার্ট অর্থনীতি

team-member

স্মার্ট সরকার

team-member

স্মার্ট সোসাইটি