দেশের গণপরিবহনের সমন্বিত ই-টিকেটিং ব্যবস্থা ও ভাড়া আদায়ে সর্বাধুনিক স্মার্ট কার্ড “র্যাপিড পাস” সুবিধা চালু করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। দেশের বিভিন্ন গণপরিবহন যেমন- মেট্রোরেল, বাস র্যাপিড ট্রানজিট, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিসি’র নৌ-যান সার্ভিস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বাস সার্ভিসে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে যাতায়াতে ঝামেলাহীন পেমেন্ট সুবিধা পেতেই র্যাপিড পাস সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারকে জানান, এমআরটি-৬ ও বিআরটিসির বাসে র্যাপিড পাস ব্যবহার করা যাবে। ভবিষ্যতে নগর পরিবহন, রেলওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়ে এই কার্ডটি ব্যবহার করা হবে।
র্যাপিড পাসটি ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের নির্বাচিত শাখায়, উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন ও আগারগাঁওয়ের এমআরটি-৬ বুথ থেকে পাওয়া যাবে।
২০১৪ সালে[১] ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ৳৩৯.০৬ কোটি ব্যয়ে ঢাকা শহরের জন্য স্বয়ংক্রিয় ভাড়া আদায় ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা প্রকল্পটির জন্য কারিগরি সহায়তা ও মোট ব্যয়ের ৭৩% প্রদান করে।[২] ২০১৭ সালের মে মাসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নগরীর আবদুল্লাহপুর–মতিঝিল রুটে চলাচলকারী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত বাসের জন্য পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে র্যাপিড পাস সার্ভিস চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ জানুয়ারি ২০১৮ সালে র্যাপিড পাস কার্ড সেবার উদ্বোধন করেন।[৩] প্রকল্পটি ২০১৯ সালে সম্পন্ন হবে বলে বলা হয়,[৪] যার সাথে আদায় হওয়া ভাড়া বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির মধ্যে তাদের পাওনা অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়ার জন্য একটি ক্লিয়ারিং হাউস ব্যাংক স্থাপন করা প্রক্রিয়াধীন ছিল; যা পরে ডাচ-বাংলা ব্যাংক দ্বারা বাস্তবায়িত হয়।[৫] ২১ জুন ২০২২ সালে আয়োজিত বাস রুট যৌক্তিককরণের বৈঠকে ঢাকার সব ধরনের পরিবহনে র্যাপিড পাসের ব্যবহার নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।[৬] ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন তাদের পরিচালিত সকল বাস পরিবহন সেবার জন্য র্যাপিড পাস কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই কার্ডটি বিআরটিসির বাস সেবা, বিআইডব্লিউটিএর লঞ্চ সেবা, বাংলাদেশ রেলওয়ের রেলগাড়ি সেবা, এমআরটি ও বিআরটির টিকিট কেনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
নদীর নিচের সুড়ঙ্গটির নির্মাণ কাজ করে চীনা কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। সুড়ঙ্গের বিভিন্ন অংশ চীনের ঝেনজিয়াংয়ে উত্পাদন করে বাংলাদেশে আনা হয়। ২০২২ সালের মধ্যে সুড়ঙ্গটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৩ সাল পর্যন্ত নির্মাণ কাজ অব্যাহত ছিল। টানেলের প্রতি টিউবের প্রস্থ ৩৫ ফুট এবং উচ্চতা ১৬ ফুট। এছাড়া, দুটি টিউবের মধ্যবর্তী ব্যবধান ১১ মিটার। সুড়ঙ্গটির মূল দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। তবে এর সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক যুক্ত।